হাওজা নিউজ এজেন্সি: সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেহরানে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ‘গ্লাসি বিল্ডিং’ পরিদর্শনের সময় এই বক্তব্য দেন।
আরাকচি বলেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ২০১৮ সালের 'সর্বোচ্চ চাপ' (Maximum Pressure) নীতি পুনরায় কার্যকর করেছেন, যার লক্ষ্য ছিল ইরানকে তার সার্বভৌম অধিকার থেকে সরে আসতে বাধ্য করা।
তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন তার দ্বিতীয় মেয়াদে— নানা হুমকি, চাপ এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানবিরোধী প্রচার আরও জোরালো করেছে। সাম্প্রতিক আলোচনাগুলোর সময়ও তারা আমাদের জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছে। যখন তাতে ব্যর্থ হলো, তখন যুদ্ধের পথ বেছে নিল এবং ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে হামলার সুযোগ করে দিল।”
তিনি আরও বলেন, ইরান সরকার ও জনগণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তা প্রশংসনীয়।
“সর্বোচ্চ নেতা আজকের ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইরান আত্মসমর্পণ করবে না এবং দৃঢ়তার সঙ্গে নিজের অবস্থান রক্ষা করবে,”—উল্লেখ করেন আরাকচি।
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের অবস্থান ছিল পরিষ্কার—আমরা আলোচনার টেবিলে ছিলাম, অথচ তারই ফাঁকে আমাদের ওপর আঘাত হানা হলো। এটি ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা বলেছি, আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কূটনৈতিক পথ কখনোই খোলা যাবে না।”
তিনি জানান, ইরানের এই অবস্থান ও যুক্তি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমর্থন ও সহানুভূতি পেয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
আপনার কমেন্ট